Preparation Tips

বিসিএস এর জন্য কি কি বই পড়া উপকারি


বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
বাংলা সাহিত্য:
১. লাল নীল দীপাবলি – হুমায়ূন আজাদ।
২. বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – সৌমিত্র শেখর।
৩. যেকোনো প্রকাশনার একটি গাইড বই। যা থেকে মূলত বিগত সালের বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নগুলো পড়তে হবে।
বাংলা ব্যাকরণ:
১. নবম-দশম শ্রেণির বোর্ড বই।
২. ভাষা শিক্ষা – হায়াৎ মামুদ।
৩. গাইড বই থেকে বিগত সালের বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নগুলো পড়তে হবে।
আর যারা রিটেনধর্মী প্রস্তুতি নিতে চান তারা সাহিত্যের জন্য অতিরিক্ত হিসেবে নিচের বইটি রাখতে পারেন।
১. বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস – মাহবুবুল আলম
English Language and Literature
English Language:
1. English for Competitive Exams (Professor’s Prokashon)
2. MP3 English Review or Oracle or Professor’s এর যেকোন একটি। প্রিলিমিনারির জন্য লিখিত অন্য কোন ভাল বই থাকলেও চলবে।
3. Cliffs TOEFL (এই বইটির উপর কয়েকটি পার্ট করে পরীক্ষা নেব)
4. Barron’s TOEFL (এই বইটির উপর কয়েকটি পার্ট করে পরীক্ষা নেব)
5. Common Mistakes in English (এই বইটির উপর কয়েকটি পার্ট করে পরীক্ষা নেব)
6. Word Smart Part I & II (একসাথে আছে) or Word Treasure or Vocabuilder (by Farhad Hossain Masum) or Saifur’s Vocabulary (এর মধ্যে যেকোন একটি বা দুটি নিতে পারেন)
English Literature:
1. An ABC of English Literature by Dr. Mofizar Rahman
2. English Literature এর উপর যেকোন ভাল প্রকাশনীর একটি বই নিয়ে নিতে পারেন। English Literature এর উপর এককথায় অসাধারণ কোন বই চোখে পড়েনি এখনও। Miracle (Oracle এর ছোট ভাই) এর বইটিও দেখতে পারেন। আর English Literature এর উপর আমি নিজেই অনেকগুলো তথ্যবহুল এবং সহজ লেসন তৈরি করে দেব। Quotation এবং Books & Writers এর উপর আমাদের নোট পাবেন।
কোন dictionary টি follow করবেন?
১. English to Bangla-র জন্য বাংলা একাডেমি’র ডিকশনারি দেখতে পারেন।
২. English to English -এর জন্য Oxford Advanced Learner’s Dictionary দেখা উচিত।
৩. Renowned Online Dictionary গুলোও দেখতে পারেন।

বাংলাদেশ বিষয়াবলী; আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী; ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা;  নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন
বাংলাদেশ বিষয়াবলী :
১. প্রফেসর’স*  (একই বইয়ে পাবেন নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন অংশটি)
২. MP3
৩. আজকের বিশ্ব* (বাংলাদেশ বিষয়াবলী ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী একত্রে আছে)
প্রফেসর’স থাকলে MP3 লাগবে না, আর MP3 থাকলে প্রফেসর’স লাগবে না। তবে কোনটাই না থাকলে প্রফেসর’স কিনে নেবেন। আর সাথে আজকের বিশ্ব লাগবে যেখানে বাংলাদেশ বিষয়াবলী ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী একত্রে পাবেন।
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলীঃ
১. MP3*
২. প্রফেসর’স
৩. আজকের বিশ্ব* (বাংলাদেশ বিষয়াবলী ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী একত্রে আছে)
প্রফেসর’স থাকলে MP3 লাগবে না, আর MP3 থাকলে প্রফেসর’স লাগবে না। তবে কোনটাই না থাকলে MP3 কিনে নেবেন। আর সাথে আজকের বিশ্ব লাগবে যেখানে বাংলাদেশ বিষয়াবলী ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী একত্রে পাবেন।
পাশাপাশি বাংলাদেশ এবং পৃথিবীর মানচিত্র বিষয়ক একটি বই সাথে রাখবেন।  মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক লেভেলের কিছু বই সংগ্রহে রাখা উচিত তাতে প্রিলিমিনারির পাশাপাশি রিটেনের প্রস্তুতিও এগিয়ে রাখতে পারবেন।
১. মাধ্যমিক ইতিহাস [৯ম-১০ম]
২. মাধ্যমিক ভূগোল [৯ম-১০ম]
৩. মাধ্যমিক সামাজিক বিজ্ঞান [৯ম-১০ম]
৪. বাংলাদেশ বিষয়াবলী-আব্দুল হাই।
৫. মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পৌরনীতি বই (৯ম-১০ম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির)
নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসনঃ
১. প্রফেসরস এর বাংলাদেশ বিষয়াবলী এবং নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন* (একসাথে একই বইয়ে)
২. অ্যাসুরেন্সের নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন বইটি অথবা যেকোন একটি গাইড
** নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন এর জন্য খুব বেশি বই কিনতে যাবেন না। ভূগোল, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা-র জন্য উপরে যা বলা হয়েছে তাতেই চলবে।
সাধারণ বিজ্ঞানঃ
১. দৈনন্দিন বিজ্ঞান (ডা: জামিল) *
২. প্রফেসর’স প্রকাশন
৩. নবম-দশম শ্রেনির সাধারণ বিজ্ঞান
৪. একাদশ -দ্বাদশ শ্রেনির বিজ্ঞান বিভাগের রসায়ন, উদ্ভিদ বিজ্ঞান, প্রাণি বিজ্ঞান, পদার্থ বিজ্ঞানের সংশ্লিষ্ট অধ্যায়।

কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তিঃ
১. MP3 ইজি কম্পিউটার *
২. প্রকৌশলী মুজিবুর রহমানের এইচএসসি কম্পিউটার ১ম ও ২য় পত্র বই।
৩. যেকোন ডাইজেস্ট।
গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতাঃ
১. ৮ম শ্রেণী থেকে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর গণিত বই।(৮ম শ্রেণীর পাটিগণিত, বীজগণিত, ত্রিকোণমিতি, পরিমিতি বইসহ)।
২. ৫ম শ্রেণীর জ্যামিতি বই।
৩. Khairul’s Basic Math (একসাথে মানসিক দক্ষতাও আছে) অথবা BCS Shortcut Math by Arifur Rahman অথবা ওরাকল বিসিএস ম্যাথ প্রিলি অথবা MP3 Math ।
৪. Saifur’s Math
৫. মানসিক দক্ষতার জন্য বাজারে খুব ভাল বই এর যথেষ্ট অভাব রয়েছে। এজন্য IQ Doctor দেখতে পারেন অথবা Khairul’s Basic Math দিয়েও কাজ সারাই ফেলতে পারেন।

বিসিএস এর জন্য কি কি বই পড়া উপকারি জেনে নিন 

সুশান্ত পাল

সবার আগে যা বলতে পারি যে বিসিএস শুধু প্রিলি পাস করলেই হয় না ,যদি ক্যাডার হতে চান তাইলে লিখিত এর সাথে প্রিলিকে সমন্বয় করে পড়বেন। বিসিএস প্রিলির জন্য যে সব বই ফলো করা উচিত বলে আমার মনে হয়ঃ

সকল বিষয়ের জন্যঃ
১) ১০ম থেকে শেষ বিসিএস প্রিলি প্রশ্ন সংকলন বইটি দেখা( সল্যুউশন ব্যাখ্যা সহ)
২) বিসিএস ডাইজেস্ট … বিসিএস বিষয়গুলো সংক্ষেপে খুব ভালো সংকলন এমন বই
৩) কারেন্ট এফেয়ার্স [মাসিক এবং বার্ষিক কপি ও বিসিএস স্পেশাল গুলো] 
৪) সংখ্যাতত্ত্ব
৫) বাংলাদেশের সংবিধান
৬)বিসিএস ম্যাপ( বাংলাদেশ ও আন্ত:জাতিক)
৭) সব বিষয়ের লিখিত এর দুই সেট বই
৮) বাংলা পিডিয়া ’র পুরো খন্ডটা থাকাই ভালো
৯)নন ক্যাডার এর দুটো সিরিজের বই
১০) অর্থনৈতিক সমীক্ষা
১১) ১০ম থেকে শেষ বিসিএস লিখিত প্রশ্ন সংকলিত বই

বাংলাঃ
১) সৌমিত্র শেখরের বাংলা বিষয়ক বইটা/ সাহিত্য জিজ্ঞাসা।
২) হুমায়ূন আজাদের লাল নীল দীপাবলি [বাংলা ভাষার ইতিহাসের জন্য] ৩) মাধ্যমিক বাংলা গদ্য ও পদ্য [লেখক,কবি ও প্রবন্ধকদের জীবনী, উল্লেখযোগ্য বই] ৪) মাধ্যমিক বাংলা ব্যাকরণ
৫) বাংলা কোষ ( জুয়েল কিবরিয়া)
৬)বাংলা অভিধান/সংসদ > বাংলা টু বাংলা , বাং লা টু ইংলিশ।

ইংরেজীঃ
১) ENGLISH FOR COMPETITIVE EXAM
২) অক্সফোর্ড এডভান্সড লার্নার ইংলিশ গ্রামার বই
৩) যেকোনও ভালো মানের ইংরেজী ব্যকরণ বই( জাকির হোসেনের বইটা ভালো , পিসি দাশ এর টাও ভালো)
৪)প্রফেসরস / ওরাকল ইংরেজী বিসিএস প্রিলিমিনারীর বই
5)COMMON MISTAKE >> FITICATES
৬)SAIFUR’S VOCABULARY/ WORD TREASURE
7) SAIFUR’S ANALOGY
8)SYNONYM ANTONYM বিষয়ক যে কোন বই

গণিতঃ
১) প্রফেসর’ স এর গনিত স্পেশাল/ওরাকল বিসিএস ম্যাথ প্রিলি [বইটা খুবই ভালো … ডিটেইল সূত্র দিয়ে ক্যালকুলেশন] ২)মানসিক দক্ষতা ও গানিতিক যুক্তি বিষয়ক বই
৩) মাধ্যমিক বীজগণিত
৪) মাধ্যমিক জ্যামিতি [পরিমিতি, ত্রিকোণমিতি ১২.৩] ৫) নিম্ন মাধ্যমিক গণিত [৮ম শ্রেণী পাটিগণিত]

বিজ্ঞানঃ
১) MP3 সিরিজের বিসিএস বিজ্ঞান সমগ্র [খুব ভালো একটা বই] ২) নিম্ন মাধ্যমিক বিজ্ঞান [৮ম শ্রেণী] ৩) মাধ্যমিক সাধারণ বিজ্ঞান [ ৯ম শ্রেণীর] ৪) পদার্থ বিজ্ঞান [৯ম শ্রেণী] ৫) রসায়ন বিজ্ঞান [৯ম শ্রেণী] ৬) জীব বিজ্ঞান [৯ম শ্রেণী]

বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলীঃ
১) মাধ্যমিক ইতিহাস [৯ম শ্রেণী] ২) মাধ্যমিক ভূগোল [৯ম শ্রেণী] ৩) মাধ্যমিক সামাজিক বিজ্ঞান [৯ম শ্রেণী] ৪) আব্দুল হাই এর বাংলাদেশ বিষয়াবলী
৫) সাধারণ জ্ঞানের যেকোনো ভাল বই( যেমন>প্রফেসর’স/ ওরাকল/ MP3 সিরিজের সাধারণ জ্ঞানের বই)
৬) বাংলাদেশ এবং পৃথিবীর মানচিত্র ও মানচিত্র বিশিষ্ট বই
পড়ার কোনও শেষ নাই … জানার কোনও শেষ নাই। উপরের বইগুলো বিসিএস প্রিলিতে ভালোভাবে চান্স পাবার জন্য যথেষ্ট সাহায্য করবে।

পুনশ্চ:
বিসিএস ক্যাডার হতে গেলে আপনাকে অনেক বেশী জানতে হবে! এজন্য অনেক বেশি তথ্য মাথায় রাখতে হবে যা অসম্ভব !! এই ক্ষেত্রে আমার সুত্র
১.কি কি বাদ দিতে হবে তা খুঁজে বের করা(বিগত সালের প্রশ্ন পড়লেই বুঝতে পারবেন)
২.সব কিছু জিনিসের কিছু কিছু আর কিছু কিছু বিষয়ের সব কিছু জানতে হবে।অর্থা্ৎ গুরুত্তপূর্ণ বিষয় গুলোর গভীরে যেতে হবে।এটাও বুঝতে পারবেন লিখিত ও প্রিলির বিগত প্রশ্ন থেকেই।
৩. যা শিখবেন স্পষ্ট করে শিখবেন কোন কনফিউসন রাখবেন না, কনফিসন হলেই নেটে বেশি বেশি সার্চ দিন।
৪.গ্রুপ স্টাডি করবেন আর বেশি বেশি এক্সাম দিন/ প্রশ্ন সলভ করুন।
৫.যে কোন বিষয় বিশ্লেষন করার ক্ষমতা বাড়ান
৬.ইংরেজীতে ও গণিতে দক্ষতা বাড়ান
৭.প্রতিদিন কিছু শব্দভান্ডার বাড়ান ও ইংরেজীতে কিছু না কিছু লিখুন,আর আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ভালো ভাবে প্রেজেন্ট করার চেষ্টা করুন এতে মুখের জড়তা কেটে যাবে।
৮. প্রতিদিনের নতুন নতুন জানা জ্ঞানকে নোট করুন( প্রত্যেক বিষয়ের জন্য আলাদা আলাদা)
৯.অযথা কোন কিছুর ছন্দ মুখস্ত করতে যাবেন না, তবে খুব ছোট হলে ভিন্ন কথা। কঠিন বিষয় গুলোকে নিজের পরিচিত কোন কিছু/ কারো সাথে মিল রাখার চেষ্টা করুন।
আজ আর নয় আর একদিন কথা হবে। সবার সফলতা ও সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।আল্লাহ হাফেজ।


বি.দ্র: এটা সম্পূর্ন আমার মতামত এর বাইরেও আপনাদের মতামত থাকতে পারে সেটা ভিন্ন কথা………



বিসিএস পরীক্ষা 

প্রথম হওয়ার পথ 


বিসিএস পরীক্ষার মতো এত বড় পাবলিক পরীক্ষায় কীভাবে প্রথম হলেন—সে কথাই জানাচ্ছেন ৩০তম বিসিএসের (কাস্টমস) প্রথম স্থান অধিকারী সুশান্ত পাল।
৩০তম বিসিএস পরীক্ষার ফলাফলের জন্য আমরা সবাই অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছিলাম। অবশেষে বের হলো সেই কাঙ্ক্ষিত ফলাফল। সেদিন ছিল আমার জন্মদিন। কী অদ্ভুত, তাই না? আনন্দে আমার চোখে পানি এসে গিয়েছিল। জীবনে সবচেয়ে বড় ‘বার্থ ডে গিফট’ পেলাম! আমরা অনেকেই জানি, আমাদের সীমাবদ্ধতাগুলো কোথায়। অথচ আমার মনে হয়, আমাদের মধ্যে বেশির ভাগ মানুষই আমাদের শক্তির জায়গাগুলোকে চিনতে ভুল করি। তাই আমরা সাহস করে বড় কিছু চাইতে পারি না। ব্যাপারটা যে একেবারেই সহজ, তা বলছি না।
বিসিএসের ব্যাপারে আমার এই প্যাশন কিন্তু খুব বেশি দিনের নয়। বরং অনেকের তুলনায় আমাকে অনেক কম সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে সাফল্যের জন্য। বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য আমি সময় নিয়েছি মাত্র এক বছর। বিসিএস পরীক্ষার জন্য আমি আমার চিন্তাভাবনা, কাজ—সবকিছুকেই এককেন্দ্রিক করে ফেলেছিলাম। মাঝেমধ্যে নিজের মনটা বিদ্রোহ ঘোষণা করত, বেঁকে বসত; তবু নিজের সঙ্গে যুদ্ধ করেছি সব সময়।
৩০তম বিসিএস ছিল আমার প্রথম বিসিএস পরীক্ষা—প্রথম প্রিলিমিনারি, প্রথম লিখিত, প্রথম ভাইভা। শুধু তাই নয়, এ চাকরিটা আমার জীবনের প্রথম চাকরি। ৩০তম বিসিএসের ভাইভা ছিল আমার জীবনের প্রথম জব ইন্টারভিউ। তাই সবকিছু মিলিয়ে আমি একটু বেশিই এক্সাইটেড! আমি সব সময় আমার স্বপ্নপূরণের জন্য সিনসিয়ার থেকেছি। তাই বোধ হয় সাফল্য এত সহজে আমার কাছে ধরা দিয়েছে।
যখন আমি চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিষয়ে আমার স্নাতক 
শেষ করলাম, আমি তখন বুঝতে পারছিলাম না, সামনের দিনগুলোয় আমি কী করব। আমি ব্যবসা শুরু করেছিলাম। ব্যবসা, বই পড়া, বিভিন্ন সামাজিক নেটওয়ার্কে বন্ধুদের সঙ্গে অনুভূতি বিনিময় করা, ছবি দেখা, গান শোনা—এসব নিয়েই বেশ ছিলাম। এরই মধ্যে হঠাৎ মাথায় পুরোনো ভূতটা নতুন করে চাপল—লেখক হতেই হবে। ৩০তম বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কদিন আগে আমার দুই বন্ধু সত্যজিৎ ও পলাশের কাছ থেকে বিসিএস সম্পর্কে জানলাম। সত্যি বলতে কি, সেদিনই বিসিএসে আমার প্রথম হাতেখড়ি। তখন আমার মনে হচ্ছিল, আমার স্বপ্নের পালাবদল হওয়ার সময় এসেছে। মনে হলো বিসিএস তথা সিভিল সার্ভিসে যোগ দিলে লেখক হওয়াটা সহজ হবে। আমার নতুন স্বপ্নযাত্রা শুরু হলো সেদিন থেকেই। আমার জীবনের কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আমার মা-বাবা ও ছোট ভাইয়ের সমর্থন পেয়েছি সব সময়। পরিবার পাশে থাকলে মনের জোর অনেকটাই বেড়ে যায়।
আপনাদের মনে হতেই পারে, কীভাবে বিসিএসের মতো এত প্রতিযোগিতামূলক একটা পরীক্ষার বাধা পার হব! এটাই স্বাভাবিক। আমারও মনে হতো। আমার ভাবনাগুলো সব সময়ই আমার স্বতন্ত্র ছিল। আমি বিশ্বাস করি না যে অন্য দশজনের সঙ্গে আমার ভাবনাগুলো না মিললেই সেগুলো ভুল হয়ে যায়।
আমি একজন কম্পিউটার প্রকৌশলী। এখন এমবিএ পড়ছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএতে। আমি সব সময়ই শুনে এসেছি, বিসিএস নিয়ে ভাবনা আমার জন্য স্রেফ পাগলামি ছাড়া আর কিছু নয়। শুনে আমার বেশ ভালো লাগত। জেদও চেপে যেত। কারণ, আমি বিশ্বাস করি, আমার পাগলামি আমার জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আপনার স্বপ্নপূরণে পাগল হতে শিখুন। ওয়ার্ক হার্ড—শুধু এই পুরোনো স্লোগান নিয়ে বসে থাকার দিন শেষ। এর সঙ্গে এখন যুক্ত হয়েছে ওয়ার্ক স্মার্টলি। হ্যাঁ, আপনাকে স্মার্টলি পরিশ্রম করতে হবে।
স্টিভ জবস এর একটা চমৎকার পরামর্শ দিয়েছিলেন—স্টে ফুলিশ, স্টে হাংগ্রি। আমিও বলছি, সাফল্য লাভ করার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত বোকা থাকুন, বিসিএসের জন্য ক্ষুধার্ত থাকুন, পড়াশোনা করুন, চোখ-কান খোলা রাখুন, মুখ নয়।